<p>সুখী কে না হতে চায়? আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সুখ ব্যাপারটা অনেকটা সমানুপাতিক। মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে আমরা শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকবো। আমরা প্রত্যেকেই যে যার মতো সুখে থাকতে চাই। এর মূল চাবিকাঠি রয়েছে নিজের হাতেই। প্রতিদিনের চলার পথে যত বন্ধুই থাকুক না কেন, আমরা চাইলে নিজেই পথটা তৈরি করে নিতে পারি। কিভাবে? আসুন জেনে নিই -</p>
১. নেতিবাচক চিন্তা আর নয় - আগামীকাল পরীক্ষা আর আজ রাতে আপনার মনে ভিড় করল হাজারো দুশ্চিন্তা, যার অধিকাংশই নেতিবাচক। খুব সহজ ভাষায় এ ধরনের চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। শুধু এমন চিন্তাই নয়, নেতিবাচক মানুষ এবং আলোচনা থেকেও সরে আসুন। কেননা, আপনার পরিধি নিজেই বুঝবেন, অন্যের কথায় সহজেই প্রভাবিত হওয়ার কিছু নেই। ২. আস্থা রাখুন নিজের ওপর - যত যাই হোক, নিজেকে বোঝার ক্ষমতা আপনারই আছে। সব নেতিবাচকতা এড়িয়ে নিজেকে অভয় দিন, ‘দিন শেষে আমিই জয়ী!’ ৩. নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা না করা - ‘ওর ওটা আছে, আমার নেই কেন’—এ ধরনের চিন্তা আপনার নিজ মানসিক শক্তিকেই কমিয়ে দেয়। এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার মধ্যে হতাশা কাজ করবে। তাই মনে রাখুন, সবার প্রতিভা এক নয়। কারও হয়তো পড়াশোনায় মেধা আছে, আবার কারও খেলাধুলায়। তাই চেষ্টা করুন নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার। ৪. ঠিকমতো খাবার ও ঘুম - শরীর ও মন একটি আরেকটির ওপর নির্ভরশীল। তাই একটি নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন। যেমন পরিমিত পরিমাণে খাবার ও ঘুম। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে কিংবা সন্ধ্যায় শারীরিক ব্যায়াম বা ইয়োগা করতে পারেন। এতে দুশ্চিন্তা অনেকটাই লাঘব হয়। ৫. নিজেকে সময় দিন - সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। সময় বরাদ্দ রাখুন কিছুটা নিজেরও জন্য। আপনার প্রিয় মানুষটি কাছে নেই? আপনি নিজেই ব্যস্ত হয়ে পড়ুন না! ঘুরে আসুন কোথাও কিংবা শখের বিষয়গুলো চর্চা করুন। কিংবা পরিবারের সবার জন্য কিছু একটা রান্না করে ফেলুন ঝটপট। ৬. পরিবার ও বন্ধুর সঙ্গে সময় উপভোগ - বন্ধুমহল কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা নিজেকে উৎফুল্ল রাখতে সহায়তা করে। এতে দুই পক্ষই খুশি হবে। এমন অনেক ব্যাপার থাকে, যা আমরা প্রিয় মানুষটির চেয়ে বন্ধুটির কাছে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তাই দিনের কিছুটা সময় বন্ধু মানুষটির সাথে কাটান। ৭. কিছু বিষয়কে এড়িয়ে চলুন - সব কাজেই যে প্রথম হতে হবে এমন চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রতিটা কাজেই সময় নিয়ে চিন্তা করুন এবং মনে করুন, সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। ৮. কৃতজ্ঞ থাকুন - সবসময় সব কিছুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। অনেকেই আছেন আপনার এই জীবন পাওয়ার জন্য লড়ে যাচ্ছেন কিন্তু তা হয়তো সবার ভাগ্যে জোটেও না। তাই আমাদের সবকিছুর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকাটা খুবই জরুরী। ৯. অন্যের প্রতি সহযোগিতা - অনেকেই পাশের মানুষের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকেন। কিন্তু ভেবে দেখার চেষ্টা করুন, সেই মানুষটি কেন এমন করেছেন। সমানুভূতি থেকেই এমনটি করা সম্ভব। তাই সব সময় নিজের ব্যাপারগুলো না দেখে অন্যদের সমস্যাগুলোও বোঝার চেষ্টা করুন। ১০. ইতিবাচক থাকুন - আপনি কাজটা যেভাবে করবেন, তার ফলটাও সেরকমই হবে। এটা মাথায় রেখেই কাজে লেগে পড়ুন। দিন শেষে কী হবে তার জন্য চিন্তা না করে নিজেকে আশ্বাস দিন। প্রতিটি ঘটনারই দুটি দিক থাকে - ইতিবাচক ও নেতিবাচক। চেষ্টা করুন সব সময় ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে বের করার। এর ভালো দিকটা আপনি নিজেই দেখতে পাবেন। এই ব্যস্ত জীবনকে সহজ করে তোলা মোটেই সহজ ব্যাপার না তবে একটু চেষ্টা করলে ক্ষতি কী? সুন্দরভাবে বাঁচাটাও একটি শিল্প । আর এ শিল্পকে রপ্ত করার কিছু সহজ ও সুন্দর উপায়ও রয়েছে । এই সবগুলো যদি কাজে লাগানো যায়, তবে আপনার জীবনযাপন প্রক্রিয়া হয়ে উঠবে আরও সহজ সুন্দর ও আনন্দময়।
Raj dip
Nice
Ronok Zahan Oishy
This is a comment
Raj dip
This is a nice blog